মঙ্গলবার

১৫:৪৭:৩৬

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮ পৌষ, ১৪৩২

১ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

এনবিআরের নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারি আদেশের পরও বিমান টিকিটের কালোবাজারি থেমে নেই

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সরকারের কঠোর নির্দেশনার পরও থেমে নেই বিমান টিকিটের কালোবাজারি। জনপ্রিয় রুটগুলোর টিকিট আগাম বিক্রি শেষ দেখালেও দালাল ও ট্রাভেল এজেন্টদের হাতে সেগুলো সহজেই মিলছে—কিন্তু কয়েকগুণ বেশি দামে।

ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে চেষ্টা করলেও নির্ধারিত মূল্যে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ঢাকার বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি বা অনলাইন গ্রুপে একই টিকিট দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কর্মজীবী ও প্রবাসফেরত যাত্রীদের বাধ্য হয়ে চড়া দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে।

এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমান টিকিট কালোবাজারি বন্ধে বিশেষ অভিযান ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নির্দিষ্ট কোটা মেনে টিকিট বিক্রি করতে বলা হয়েছে। তাছাড়া অনলাইন বিক্রয় প্রক্রিয়ায় একাধিক ভুয়া আইডি ব্যবহার ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে টিকিট সিন্ডিকেটে বিদেশি এয়ারলাইন্সের জিএসএ ও ট্রাভেল এজেন্সির সম্পৃক্ততা পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের আয়কর নথি অনুসন্ধানে নেমেছেন আয়কর গোয়েন্দারা। ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হলো ট্রাভেলস, শেয়ার ট্রিপস লিমিটেড, সানসাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস, আল গাজী ট্রাভেল লিমিটেড, জেএস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর, হাজী এয়ার ট্রাভেলস, রাজশাহী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, ইস্ট-ওয়েস্ট ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, গোল্ডেন বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, আল মারিয়া, ভ্যালেন্সিয়া এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, তালন করপোরেশন, ডায়নামিক ট্রাভেলস, এয়ার ট্রিপ ইন্টারন্যাশনাল, বি ফ্রেশ লিমিটেড, হাসান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, আল ইমাম হজ কাফেলা, গালফ ট্রাভেলস, সুমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস, ভার্সেটাইল ট্রাভেলস, কিং এয়ার এভিয়েশন, আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, সাদিয়া ট্রাভেলস, ফ্লাই ফেয়ার ও গ্যালাক্সি ট্রাভেলস। মোট ৩০টি ট্রাভেলস মালিকের কর ফাইল তদন্ত করা হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে তাদের ব্যাংক হিসাবও তলব করা হয়। কর ফাইলগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আয়কর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এরই মধ্যে বিদেশি সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের জিএসএ ইউনাইটেড লিঙ্ক লিমিটেডের এমডি আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ, তার স্ত্রী জাজিরা জিএসএ জেড এভিয়েশনের মেরিনা আহমেদ, সালাম এয়ারের জিএসএ এমএ লতিফ শাহরিয়ার জাহিদি এবং সাদিয়া ট্রাভেলস ও মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ রৌশন আলীসহ বেশকিছু মালিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আরও কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিকের কর ফাঁকির প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এসব করদাতা ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (প্রোপ্রাইটরশিপ) নামে ব্যাংকে বা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত বা রক্ষিত যে কোনো মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যে কোনো ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যে কোনো ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, লকার বা ভল্ট, যে কোনো ধরনের বন্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যে কোনো ধরনের সেভিংস ইনস্ট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যে কোনো ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হিসাবগুলোর ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী বা ঋণ মঞ্জুরিপত্রের তথ্যও চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে।

তবে যাত্রী সাধারণ বলছে, বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসেনি।
ভোক্তা অধিকার কর্মীরা মনে করেন, দালাল চক্রের সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকায় এ ধরনের কালোবাজারি বন্ধ হচ্ছে না। কঠোর আইন প্রয়োগ না হলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে না।

অভিজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক রুটে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে চাহিদার তুলনায় টিকিট সরবরাহ সীমিত। এই সুযোগে দালালরা সক্রিয় হয়ে যায়। তাই স্বচ্ছ অনলাইন সিস্টেম, কড়া নজরদারি এবং দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ছাড়া এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন

Scroll to Top