শুক্রবার

১৯:২০:৩৪

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

১১ পৌষ, ১৪৩২

৪ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. Lead
  3. বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত সম্মেলন সোমবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি সর্বসম্মতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এ মামলা করা হয়েছিল।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের যে রায় দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্ট থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে এ মামলায় যারা আপিল করতে পারেনি, তারেক রহমানসহ সবাইকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ, এ মামলা ছিল শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিহিংসামূলক মামলা। আদালত এটিকে ম্যালিশিয়াস প্রসিকিউসন (বিদ্বেষমূলক মামলা) বলেছেন। সেই সঙ্গে এ মামলা এত বেশি বিদ্বেষমূলক ছিল যে, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ হয়। রায় দেওয়ার জন্য আজকের দিন ঠিক করেন সর্বোচ্চ আদালত।

এ মামলায় ১০ বছরের সাজা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। একই সাজা হয় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও। রায়ে সব আসামির খালাসের প্রত্যাশা করেন দলটির আইনজীবীরা।

তারা জানান, জিয়া পরিবারকে হেনস্তা করতেই বিচারের নামে প্রহসন করেছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

আর রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে বলেন, ধারণার ভিত্তিতে কাউকে সাজা দেওয়া ঠিক হয়নি। আর দুদকের অবস্থান ছিল, মামলার নথিপত্র, সাক্ষ্যপ্রমাণে কোথাও বেগম জিয়াসহ আসামিদের দুর্নীতি অনিয়ম কিংবা বিশ্বাসভঙ্গের প্রমাণ মেলেনি।

মঙ্গলবার খালাস চেয়ে শুনানি করেন এ মামলার আরেক আসামি কাজী সলিমুল হকের আইনজীবী। এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল শুনানি।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলাকালীন, খালেদা জিয়া এবং তার পরিবার ও দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলা হয়, যার মধ্যে অন্যতম অভিযোগ ছিল, তার নেতৃত্বে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। আদালতে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মামলা নিয়ে দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা রাজনৈতিক ও আইনি আলোচনা শুরু হয়।

আরও পড়ুন

Scroll to Top