ঢাবির এ এফ রহমান হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্যার এ. এফ. রহমান হল প্রশাসন। ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট জারি করা পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বহাল রেখে এবার আরও কঠোরভাবে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে স্যার এ. এফ. রহমান প্রভোস্ট কাজী মাহফুজুল হক সুপণ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে হল প্রাঙ্গণে ছাত্ররাজনীতির সব ধরনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৭ আগস্টের প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, শিবির ও ছাত্র ইউনিয়নের নাম থাকলেও এবার তাতে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদসহ সব বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে হলে সংঘটিত বর্বরোচিত হামলায় যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এছাড়া হলের অভ্যন্তরে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ, রাজনৈতিক ব্যানারে উন্নয়নকাজ, এবং দলীয় পরিচয়ে কোনো ধরনের কার্যক্রম- সবকিছুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘হলে কেউ কিছু দিতে চাইলে তা হল প্রশাসনের মাধ্যমে প্রদান করতে হবে এবং সেটি হলের নামে স্থাপন করতে হবে। পূর্বে দলীয় ব্যানারে যেসব সরঞ্জাম বা স্থাপনা রয়েছে, সেখান থেকে দলীয় নাম অপসারণ করতে হবে।’
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, যারা বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কমিটিতে রয়েছেন, তারা মুচলেকা প্রদান ও পদত্যাগ ছাড়া হলে থাকতে পারবেন না। অন্যথায় তাদের আবাসিক সুবিধা বাতিল করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। এর পর থেকেই হলগুলোতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং রাত গড়াতেই তা প্রতিবাদে রূপ নেয়।