মঙ্গলবার

১৬:০১:২২

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮ পৌষ, ১৪৩২

১ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

নবীকন্যা ফাতিমার (রা.) জীবন থেকে নারীদের জন্য ৫ শিক্ষা

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কন্যা হজরত ফাতিমা (রা.) ইসলামের ইতিহাসে এক মহীয়সী নারী। তিনি আজও মুসলমানদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। পরিণত বয়সে হজরত আলী (রা.)-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি নবীজির প্রিয় দুই নাতি হজরত হাসান (রা.) ও হজরত হুসাইন (রা.)-কে জন্ম দেন।
নবীকন্যা ফাতিমা (রা.)-এর জীবন থেকে নারীদের দৈনন্দিন জীবনে ধারণ করার মতো অসংখ্য শিক্ষা রয়েছে। এখানে এমন পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা তুলে ধরা হলো—

১. ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় থাকা

হজরত ফাতিমা (রা.) সবসময় ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখে সত্যের পক্ষে অটল ছিলেন তিনি। ইসলাম ন্যায়ের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছে, তিনি তার জীবন্ত দৃষ্টান্ত ছিলেন।

২. দান-খয়রাতের প্রতি ভালোবাসা
নবীকন্যা হজরত ফাতিমা (রা.) সমাজসেবায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। নিজের ও পরিবারের প্রয়োজনের থেকেওঅসহায়দের প্রয়োজনকে বেশি প্রাধান্য দিতেন এবং তাদের পাশে দাঁড়াতেন। কোরআন ও হাদিসে আত্মশুদ্ধি ও রিজিক বৃদ্ধির জন্য দানকে যে গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে, তা তিনি নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন।

৩. ধৈর্য ও স্থিরতা

নবীজির কন্যা হিসেবে তিনি জীবনে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। তার সামনেই বাবা ও স্বামীর ওপর হামলা হয়েছে, তার নিজের ওপর নির্যাতন হয়েছে—সবকিছুর পরও তিনি ধৈর্য ধরে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখেছেন। বর্তমান সময়ে মুসলমানদের জন্য এটি একটি বড় শিক্ষা।

৪. সততা ও সত্যবাদিতা

হজরত ফাতিমা (রা.) সত্যবাদিতা ও সততার প্রতি অনড় ছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্যে সঠিক পরিমাপ ও ওজনের মাধ্যমে প্রতারণা বন্ধ করতে কোরআনে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। যে কোনো পরিস্থিতিতেই সত্যের পক্ষে থাকা তার জীবনের মূলনীতি ছিল।

৫. অন্যের জন্য দোয়া

নবীকন্যা হজরত ফাতিমা (রা.) নিজের আগে অন্যের জন্য দোয়া করতে শিখিয়েছেন। একবার তার ছেলে হাসান (রা.) জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘বাবা! আগে প্রতিবেশী, পরে আমাদের পরিবার।’—এভাবেই তিনি সমাজের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন।

আরও পড়ুন

Scroll to Top