বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে মহেশখালীর অপার সম্ভাবনা সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত। জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে এ এলাকার গুরুত্ব বর্তমান ও ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে শিল্পায়ন, জ্বালানি, গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রের মৎস্য আহরণকে উন্নয়নের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের বিডা ভবনে মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের এক পরামর্শ সভা এ কথা বলেন তিনি। গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণ ও সুনীল অর্থনীতি উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করে মিডা।
মিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় মিডার বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নির্বাহী সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক। এসময় সময়োপযোগী নীতিগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নির্বাহী সদস্য মো. সরোয়ার আলম। সভায় দেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় আশিক চৌধুরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে শিল্পায়ন, জ্বালানি, গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রের মৎস্য আহরণকে উন্নয়নের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে যুক্ত করেছি। মিডা গঠনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এসব উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমন্বয় ও গতিশীল করা।
তবে মূলচালিকা শক্তি হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের আলোচনায় প্রথম বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ সহায়তা এবং সুনীল অর্থনীতির নির্দিষ্ট উপখাতে বিনিয়োগবান্ধব ইকোসিস্টেম তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।’ সভায় শতভাগ রপ্তানিমুখী সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডেড সুবিধা দেওয়াসহ আটটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।