মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দেখানো আদর্শ ও পথ অনুসরণ করেই বাংলাদেশের মুক্তিকামী ছাত্র–জনতা রাজপথে নেমেছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরা কখনোই শুধু জ্ঞানচর্চায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে জাতিকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ডাকসুর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের বুদ্ধিজীবীদের শহীদ করে আজাদির পথ থামিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আজাদি থামেনি। আমরা পেয়েছি নতুন ভূখণ্ড, স্বাধীন ভূখণ্ড।” তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীরাই সবসময় জাতিকে পথ দেখিয়েছেন এবং জাতির সংকটময় মুহূর্তে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ডাকসু ভিপি আরও বলেন, প্রত্যাশা ছিল—বুদ্ধিজীবীরা যেভাবে আজাদির স্বপ্ন দেখতেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন এবং ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্রের কথা বলতেন, স্বাধীন দেশেও তারা সেই স্বপ্নকে লালন করবেন। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, পরবর্তী সময়ে কিছু বুদ্ধিজীবী সেই আদর্শ থেকে সরে এসে ‘ফ্যাসিবাদকে’ সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরে খুনি হাসিনাকে গুম, খুন ও আয়নাঘর প্রকল্পে সহযোগিতা করেছিল বুদ্ধিজীবী নামের কিছু লোক। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।” একই সঙ্গে তিনি প্রকৃত বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তারাই জাতির প্রকৃত আলোকবর্তিকা।
এক প্রশ্নের জবাবে সাদিক কায়েম বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ডাকসু সবসময় আপসহীন থাকবে। তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি, আর চব্বিশের আন্দোলনের মাধ্যমে দিল্লির আজাদি থেকে মুক্তি পেয়েছি।”
রাজনীতি করতে হলে বাংলাদেশকে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, জনগণের স্বার্থ ও দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস করা যাবে না।
এমএফ/বিকল্পকন্ঠ
#শহীদবুদ্ধিজীবীদিবস #ডাকসু #সাদিককায়েম #মুক্তিযুদ্ধ #বাংলাদেশ