ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদলের সোনালী ফসল, মেধাবী ছাত্রনেতা, যুবনেতা আতিকুর রহমান বিশ্বাস এবার বায়রা নির্বাচনে মহাসচিব পদপ্রার্থী:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী যুবনেতা আতিকুর রহমান বিশ্বাস আগামী ২০২৬-২০২৮ মেয়াদের জন্য বায়রা সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের মহাসচিব পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে বেড়ে উঠে ছাত্রনেতা ও কবি জসিম উদ্দিন হলের সাবেক সভাপতি, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি এবং যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুবদলের রাজনীতিতে জড়িত।
আতিকুর রহমান বিশ্বাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ছাত্রদলের সোনালী ফসল এবং যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের মাধ্যমে সংগঠনকে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য কাজ করে আসছেন। তার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজে স্বচ্ছ নেতৃত্ব এবং উদারনৈতিক চিন্তাধারা আরও শক্তিশালী হয়েছিল।

আতিকুর রহমান বিশ্বাস বর্তমানে আল-আকাবা এসোসিয়েট আরএল-২৩২০ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে বায়রা সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের সদস্যরা তার পাশে দাঁড়াবে এবং তিনি সকলের সহায়তায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবেন। তিনি শ্রমবাজার রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ ই আগস্ট ২০২৪ তথা ফ্যাসিস হাসিনা পতনের পরে বাংলাদেশ শ্রমবাজার যখন হুমকির মুখে পড়ে, সাধারণ বায়রা সদস্যরা বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হন তখনি তিনি বায়রা সদস্যদের কান্ডরি হয়ে সামনে আসেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি গড়ে তোলেন শ্রমবাজার রক্ষা আন্দোলন। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ১০ দফা দাবি নিয়ে বিএমইটি ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করেন।
সরকারি নীতিতে দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ সুবিধা এবং ট্রিপুটি লাইসেন্স ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ট্রিপুটি লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় অভিযোগ নিষ্পত্তি ও কমি প্রেসক্রিপশন শর্ত বাতিল করে পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত নবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। মানব পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং অভিবাসী আইন ২০১৩-এর বৈধ অভিবাসনের বিপরীত ধারাগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সৌদি আরবগামী কর্মীদের বহিঃচাপন ছাড়পত্র পূর্বের নিয়মে অট্যাহার রাখা এবং বাধ্যতামূলক সংশ্লিষ্ট বিধি বাতিল করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক কারণে বাতিল হওয়া ৪৫টি ট্রিপুটি লাইসেন্স পুনর্বহাল করতে হবে এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য ৫০ লাখ টাকা জামানতের শর্ত বাতিল করতে হবে। অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গ্রাহকপ্রার্থী ও অভিযোগকারী ঢাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে। দুবাইসহ বিদেশে ট্রিপুটি এজেন্সি তালিকাভুক্তির কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য মান্দারসিয়া, সিয়াপুর, কুয়েত, জাপানসহ অন্যান্য বাজারে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। লাইসেন্স জামানতের লভ্যাংশ পূর্বের নিয়মে বজায় রাখা এবং পেপারজামের ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। একক এজেন্সি বাধ্যতামূলকতা এবং নারী কর্মীর অতিরিক্ত দেশভিত্তিক জামানত ও ABCD শ্রেণীবিন্যাস প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।
এই বিষয়ে তিনি বিকল্পকন্ঠে বলেন, “বায়রা সদস্যদের সুবিধা ও স্বার্থ রক্ষার্থে আমি সর্বদা জীবন বাজি রেখে কাজ করব। সদস্যদের স্বার্থে কোনো জেল, জুলুম বা নির্যাতন আমি কখনো সমর্থন করব না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা নতুন নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করব। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সদস্যরা যাতে নির্ভয়ে তাদের অধিকার আদায় করতে পারে, তা নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য। সকলের সহযোগিতায় আমরা বায়রার নতুন একটি সাফল্যময় অধ্যায় শুরু করব।”
এমএফ/বিকল্পকন্ঠ
#আতিকুররহমানবিশ্বাস #বায়রানির্বাচন২০২৬ #গণতান্ত্রিকজোট #ছাত্রনেতৃত্ব