শনিবার (১৮ অক্টোবর) গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো, নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, নিরীহ মানুষকে গ্রেফতার এবং বিভিন্ন স্থানে হামলার মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে। যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণার পরও এটি দখলদার বাহিনীর আগ্রাসী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
বিবৃতিতে গাজার কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে— তারা যেন অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধে বাধ্য করে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণকে সুরক্ষা দেয়।
গত শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর এক ভয়াবহ হামলায় গাজার জেইতুন এলাকায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন সাত শিশু ও তিনজন নারী। তারা আবু শাবান গোত্রের সদস্য ছিলেন। নিজেদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ি দেখতে গিয়ে বাসে থাকা অবস্থায় ওই হামলার শিকার হন তারা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই ছিল ফিলিস্তিনিদের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু নির্দেশ দিয়েছেন যে রাফাহ ক্রসিং পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হামাস তাদের বাধ্যবাধকতা— জিম্মিদের দেহ হস্তান্তর ও যুদ্ধবিরতির শর্ত বাস্তবায়ন— কীভাবে পালন করে, তার ওপরই ক্রসিং পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। [সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি]