বাংলাদেশের বোর্ডে বেশি রান নেই, মাত্র ২০৭। এই পুঁজি নিয়ে জিততে হলে বোলারদেরই কিছু করতে হবে। রিশাদ হোসেন সেই চেষ্টাটাই করছেন। এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেট পড়েছে, সবকটিই এই লেগস্পিনারের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২২ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৮৫ রান।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং আর অলিক আথানাজে তোলেন ৫১ রান। অবশেষে ১২তম ওভারে রিশাদ হোসেন এলবিডব্লিউ করেন আথানাজেকে (২৭)।
ক্রিজে এসে ধরে খেলতে থাকেন কিয়েসি কার্টি। যদিও কাজ হয়নি। রিশাদের ঘূর্ণিতে স্লিপে সাইফ হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৩০ বল খেলে করেন ৯ রান।
এরপর ইনিংসের ২২তম ওভারে জোড়া শিকার করেন রিশাদ। সেট ব্যাটার ব্রেন্ডন কিং ৬৬ বলে ৪৪ আর শেরফান রাদারফোর্ড শূন্য করেই হন উইকেটরক্ষক সোহানের দারুণ দুটি ক্যাচ। ১ উইকেটে ৭৯ থেকে ৪ উইকেটে ৮২ রানে পরিণত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অর্থাৎ ৩ রানের মধ্যে হারায় ৩ উইকেট।
এর আগে আরও একবার ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রায় ৫০ ওভার খেলেও বলার মতো পুঁজি গড়তে পারেনি না বাংলাদেশ। একটা সময় তো দুইশর নিচেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। শেষদিকে রিশাদ হোসেন আর তানভীর ইসলামের ব্যাটে কোনোমতে সে শঙ্কা কেটেছে। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ধুঁকতে থাকে স্বাগতিক দল। তানজিদ হাসান তামিমকে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে ফেরানো হয় সৌম্য সরকারকে। সঙ্গে ছিলেন সাইফ হাসান।
দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই সাইফ হাসানকে এলবিডব্লিউ করেন রোমারিও শেফার্ডকে। এলবিডব্লিউটা এতটাই স্পষ্ট ছিল যে, সাইফ হাসান রিভিউ নেওয়ার সাহস করেননি। ৩ রানে বিদায় নেন তিনি।
এরপরের ওভারের প্রথম বলেই জেডেন সিলসকে কভার পয়েন্ট এরিয়া দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য সরকার। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে ৪ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তাওহিদ হৃদয়। যদিও জুটিটি ছিল ধীরগতির। ১২০ বল খেলে ৭১ রান যোগ করেন তারা। শান্তর এলবিডব্লিউয়ে ভাঙে এই জুটি। খারে পিয়েরির বলে ফেরার আগে শান্ত করেন ৬৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩২।
এরপর দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে নেন হৃদয়। তবে মিরপুরের ধীরগতির পিচে তার হাফসেঞ্চুরি করতে লেগেছে ৮৭ বল! তবে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটির পর বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। ৫১ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন হৃদয়।
জাস্টিন গ্রেভসের অনেকটা বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন হৃদয়। ৯০ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
পঞ্চম উইকেটে অঙ্কন আর মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ করেন ৫৫ বলে ৪৩ রান। রস্টন চেজের স্পিনে মিরাজ ছক্কা হাঁকাতে গেলে ভাঙে এই জুটি। ২৭ বলে ১৭ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর নিজের ভুলে ফিফটি মিস করেন অভিষিক্ত অঙ্কন। চেজকে হাঁটু গেড়ে বড় শট মারতে গিয়ে মিস করেন, হন বোল্ড। ৭৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে ৩টি চার মারেন অঙ্কন। ১৬৫ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
নুরুল হাসান সোহান করেন ১০ বলে ৯। রিশাদ হোসেন ১২ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ২৬ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে দলকে দুইশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ৪ বলে ১ ছক্কায় ৯ করেন তানভীর ইসলাম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেডেন সিলস ৩টি এবং রস্টন চেজ ও জাস্টিন গ্রেভস নেন ২টি করে উইকেট।