আওয়ামী লীগ যখনই বেকায়দায় পড়েছে তখনই জঙ্গি হাতিয়ার ব্যবহার করেছে। হলি আর্টিজানের ঘটনায় প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হয় নাই। এর সাথে অন্য কোন রাষ্ট্রের বা গোষ্ঠীর যোগসূত্র রয়েছে কি না তা পুনঃতদন্তের প্রয়োজন আছে।
রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেস’র অয়োজনে আওয়ামী সরকারের জঙ্গি প্রচারণা নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
তিনি বলেন, জঙ্গি ইস্যু ব্যবহার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামাতের আমির শফিকুল ইসলামের মতো শীর্ষ রাজনীতিবিদকে সন্ত্রাসী হিসেবে জেলে আটকে রেখেছিল। ধর্মীয় উগ্রবাদকে সামনে এনে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার নামে বিগত সরকার বিরোধী দল ও মতকে দমন করে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের অনুকম্পায় ক্ষমতায় টিকে ছিল।
হাসান আহমদ চৌধুরি কিরণ বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে দাড়ি রাখা, টুপি পরা, বোরখা পরা, মসজিদে নামাজ আদায় করা ব্যক্তিদের টার্গেট করা হতো। এমনকি যে সব বাসা বাড়ি থেকে ফজরের নামাজ আদায়ে মসজিদে যেত তাদেরকে টার্গেট করা হতো জঙ্গি আখ্যায়িত করার জন্য।
এদিকে“দেশকে জঙ্গি তকমা দেয়া ছিল আওয়ামী শাসকদের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার” শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা কলেজ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক নয়ন মুরাদ, সাংবাদিক আহমেদ সরওয়ার ও সাংবাদিক রিয়াজ রায়হান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।