ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ করেছে ঢাবির ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও।
সোমবার দুপুর ১টায় পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা ও ঝাড়ু নিক্ষেপ শুরু করে। বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জুতা নিক্ষেপ করছে।
এসময় উপস্থিত ছাত্র-জনতা “খুনি হাসিনার দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে”, “ফাঁসি ফাঁসি চাই,খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই,” “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা” প্রভৃতি স্লোগান দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে খুনের বিচার করার জোর দাবি জানান।
শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রাইয়ান রশিদ বলেন, পতিত স্বৈরাচারের অপকর্ম গুলো মানুষ ঘৃণা ভরে সারাজীবন মনে রাখবে। মানুষের ঘৃণার ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র তাদের ঘৃণাকে নতুন করে উসকে দিয়েছে।
এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, স্বৈরাচারের প্রতি মানুষের প্রকাশিত ঘৃণা সবসময় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কোনো অপশক্তি মানুষের মনের এই ঘৃণাকে কেড়ে নিতে পারবে না।
জুতা নিক্ষেপ করতে আসা রাজধানীর এক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদকে কখনো ভুলবো না। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে ভুলে গেলে আমরা আবারও শোষিত হব। ফ্যাসিবাদের প্রতি আমাদের এই ঘৃণার ইতিহাসকে আগামী দিনেও সকল ফ্যাসিবাদী চরিত্রের শাসকের জন্য শিক্ষা হিসেবে বহাল রাখতে হবে।
জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচিতে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অংশগ্রহণও চোখে পরে। অনেকে নারী শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন। এসময় কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী তাসনিমের সাথে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা মারতে এসেছি। কয়েকটি জুতাও নিক্ষেপ করেছি। জুতা নিক্ষেপও শান্তি পাচ্ছি না, তাকে দেশে এনে প্রকাশ্যে শাস্তি দিতে হবে। সেদিনের অপেক্ষায় আছি।