হানিবালকে ২০১৫ সালে লেবানন সরকার গ্রেপ্তার করেছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি লিবিয়ায় ১৯৭৮ সালে প্রখ্যাত শিয়া নেতা মুসা আল-সাদরকে অপহরণ ও গুমের বিষয়ে তথ্য প্রকাশে বাধা দিয়েছেন। আল-সাদর মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করতে লিবিয়া গিয়ে অপহৃত হন, যা লেবাননের জনমনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
হানিবালের আইনজীবী, লরাঁ বায়ন, জামিনের সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “তিনি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছেন, ১১ মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পাবেন?” এবং এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, আল-সাদর পরিবার জানিয়েছে যে তারা এই জামিনের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না। তাদের মূল লক্ষ্য হলো আল-সাদরের অদৃশ্য হওয়ার সত্য উদঘাটন।
এই জামিনে মুক্তি হানিবাল গাদ্দাফির দীর্ঘদিনের কারাবাসের শেষ অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, তবে আল-সাদরের গুমের সত্য উদঘাটনের প্রশ্ন এখনও লেবানন ও লিবিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি অমীমাংসিত বিষয়।