মঙ্গলবার

১৪:১১:১৩

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮ পৌষ, ১৪৩২

১ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট—স্বপ্নের পথে সাহসী পদক্ষেপ

সম্পাদকীয়

সম্পাদক

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট—স্বপ্নের পথে সাহসী পদক্ষেপ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাস ৫৩তম বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করছেন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে দেশের আর্থিক পরিকল্পনার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এই বাজেট শুধু সংখ্যার হিসাব নয়, এটি জাতির উন্নয়ন-ভবিষ্যতের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, অঙ্গীকার এবং সাহসিকতার প্রতিফলন।

চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ—যেমন জ্বালানি সংকট, মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার চাপ—সত্ত্বেও এবারের বাজেট যে লক্ষ্যে এগোতে চায়, তা হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করা, সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করা এবং দেশের উৎপাদন খাতকে গতিশীল রাখা।

বাজেটের আশাব্যঞ্জক দিকগুলো

প্রথমেই বলতে হয়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার মধ্য দিয়ে সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ফলে মানবসম্পদ উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

কৃষিখাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা, শিল্প ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য করছাড় ও সহায়তা প্যাকেজ দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রাজস্ব ও করনীতিতে উদারতা ও বাস্তবতা

বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়াতে কর-নীতিতে কিছু সংস্কার আনার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি না করেও অর্থ সংগ্রহের পথ সুগম করবে। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে কর ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বাড়ানো এবং করজাল সম্প্রসারণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

যা আরও গুরুত্ব পেতে পারত

তবে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বাড়তি মনোযোগ দাবি করে। যেমন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি এবং অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতে অর্থনৈতিক কূটনীতিক শক্তিকে আরও সক্রিয় করতে হবে

 

সর্বোপরি, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেশের উন্নয়নযাত্রার এক সাহসী পরিকল্পনা। এটি বাস্তবায়নের জন্য শুধু সরকারের সদিচ্ছা নয়, প্রয়োজন জনসচেতনতা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। আমরা আশাবাদী, এই বাজেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অগ্রগতির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

 

আরও পড়ুন

Scroll to Top