জীবন বড়ই অদ্ভুত! গতকালও যেটা ছিল বর্তমান, সেটা এখন অতীত। ২৪ ঘণ্টা আগেও কেউ ২০২৪-কে আগের বছর বা গত বছর বলতেন না। আজ বলছেন। এই যেমন আজ ২০২৫ সালের প্রথম দিন নতুনের আবাহন আছে সব জায়গায়। আছে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার চেষ্টা। পাশাপাশি চলছে আগের বছরের পোস্টমর্টেম। কেমন ছিল ২০২৪ সাল?
ক্রিকেট অনুরাগী-ভক্তরাও হিসেব মেলানোর চেষ্টায়। তবে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু নিরপেক্ষ ক্রিকেট অনুরাগী, বোদ্ধা, বিশেষজ্ঞ ও পন্ডিত সবার মত প্রায় এক; সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের মাঠের পারফরম্যান্স মন্দ ছিল না। কোনোটায় যেমন ভালো হয়নি, তেমনি ভালো বা মনে রাখার মতো সাফল্যও আছে।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদও তাই মনে করেন। ফারুকের অনুভব-উপলব্ধি, গত বছরটি ছিল ভালো ও মন্দের মিশেলে।
(বুধবার) নতুন বছরের প্রথম দিন মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বিসিবি বিগ বস জানান, ‘আপনি যদি শুধু পরিসংখ্যান দেখেন, এ বছরটা ছিল ভালো আর খারাপের সংমিশ্রণ। আমরা পাকিস্তানে দুটি টেস্ট জিতেছি। আবার ভারতে দুটি টেস্টই হেরেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে একটা করে টেস্ট জিতেছি আর হেরেছি। ঢাকায় আবার দুটি হোম সিরিজ হেরেছি। আবার টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে তাদের হারিয়েছি। এটা সংমিশ্রণ বলতে পারেন।’
ফারুক মনে করেন, ভালো ফলের পূর্বশর্ত হলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ। তার ব্যাখ্যা, প্রক্রিয়া শুদ্ধ ও সঠিক থাকলে ফল ভালো হবেই। বিসিবি সভাপতির ভাষ্য, ‘আমরা যাই করি ফলাফলের দিকটা ভেবেই করি। কিন্তু ফলাফল পেতে হলে আপনাকে কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাওয়া দরকার। প্রক্রিয়া যদি আমরা ঠিক করতে পারি, এটা কিন্তু লজিক্যাল সিকুয়েন্স যে ফলাফল আসবেই।’
বোর্ড প্রধান হিসেবে তার নিজের পারফরম্যান্স সম্পর্কে ফারুক বলেন, আমার মাত্র চার মাস হয়েছে, আপনি বললেন। চার মাসে ম্যাজিকাল কিছু করা যাবে না।’
তিনি সভাপতি হয়ে ক্রিকেটারদের অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। এবং তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে বোর্ডে কোনোরকম নেতিবাচক সমালোচনা ও তির্যক কথাবার্তা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন। এমন জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘কিছু জিনিসে আমি জোর দিয়েছি। যেমন-ক্রিকেটাররা যেমনই খেলুক বোর্ড থেকে এটা নিয়ে আমি বলেছি যে, কিছুই বলা যাবে না কারো। আবার খেলোয়াড়রা যখন খুব ভালো খেলে, আগে দেখতাম ওরা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতো, এগুলো এখন কমেছে।’
ফারুকের ধারণা, ক্রিকেটের উত্তোরনে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সমন্বয় খুব জরুরি। এ সম্পর্কে তার ব্যাখ্যা, ‘আমার মনে হয় একটা অর্গানাইজেশনে এই কো-ওর্ডিনেশনটা খুবই প্রয়োজন, আমরা তো একসঙ্গেই কাজ করি। যেমন আপনারা স্পোর্টস সাংবাদিক, আপনারা তো সমালোচনা করবেনই। তো এটা যদি গঠনমূলক হয়, তাহলে আমাদেরও সুবিধা হয়।’