নওগাঁর মান্দায় কয়াপাড়া কামারকুড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কান্তি কুমার দাসের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা ১১টার সময় কয়াপাড়া কামারকুরি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ ঘটনা ঘটে। বই বিক্রির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা স্কুলের পাশেই অবস্থান নেয়। এ সময় বই বহন করার জন্য একটি ভ্যান বাহিরে রেখে বই ক্রেতা ও ভ্যান চালক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পিয়নের সঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করেন। প্রবেশের পর বই গুলো ওজন করতে থাকেন তারা।
এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক বইগুলো তড়িঘড়ি করে স্কুলের ঘরে ঢুকাতে বলেন। সেইসাথে বই ক্রেতাকে দ্রুত স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন। প্রধান শিক্ষকের কথামতো বই ক্রেতা দ্রুত সটকে পড়েন। এরপর প্রধান শিক্ষক ও পিয়ন দ্রুত স্কুল বন্ধ করে মটর সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি পাশ কাটিয়ে পালিয়ে যান।
ভ্যান চালক আরিফ জানান, তার বাড়ি প্রসাদপুর ইউপির গোটগাড়ি। সরকারি বই কেনার জন্য স্কুলে এসে বইয়ের মাপ করছিলাম। আপনাদের দেখে প্রধান শিক্ষক আর বই দেননি পরে আসতে বলেন। আমি সাধারণ ভ্যান চালক আমার কোন দোষ নেয়।
এ ব্যাপারে কয়াপাড়া কামারকুড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কান্তি কুমার সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য না করে মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যান।
সরকারি বই বিক্রয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শামসুজ্জামান বলেন, সরকারি বই বিক্রির কোন নিয়ম নেই। আমরা প্রধান শিক্ষকদের এবিষয়ে সতর্ক করেছি। সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে আমি অ্যাকশনে যাব।