বুধবার

০৩:০১:৩৩

২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

৯ পৌষ, ১৪৩২

২ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

নওগাঁর মান্দায় এ এস আই এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর মান্দায় পুর্ব বিরোধের জের ধরে মন্জুর রহমান নামে এক বৃদ্ধ কে নির্মম ভাবে মারপিটের অভিযোগে থানায় মামলা করে দেওয়ার কথা বলে দুই দফায় ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এ এস আই এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিষ্ণপুর ইউনিয়নের কর্ণভাগ গ্ৰামের বটতলা মোড়ে এঘটনা ঘটে।

এঘটনায় ভুক্তভোগী মন্জুর রহমানের স্ত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার করেন। এই নেক্কারজনক ঘটনার একমাস পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী ও এলাকার সচেতন মহলের।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে সন্ধ্যার দিকে কর্ণভাগ গ্ৰামের সমসেরর ছেলে আজাহার ও মৃত শশী সরদারের ছেলে সেকেন্দার, শ্রী যোগলের সারের দোকানে সামনে পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু মন্জুর রহমানের বাম-পায়ের খোঁড়ালিতে হার ফাটা ও ফুলা যখম থাকায় তাকে রেফার্ড করেন। পরে রাজশাহী ইসলামী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্ৰহন করেন তিনি।

এঘটনায় ইউপি সদস্য সজিব হোসেন মিতুসহ স্থানীয় আবু বকর, নয়ন, আঃ রাজ্জাক এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মন্জুরের স্ত্রী সোহাগী বলেন, আমার স্বামীকে এরকম ভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে যখন করেছে কিন্তু থানায় গিয়ে বহু হয়রানির শিকার হয়েছি ।

ভুক্তভোগী মন্জুর রহমান বলেন, আমি মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চার দিন এবং রাজশাহী ইসলামী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেকদিন চিকিৎসা নিয়েছে এরপরেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। এক পর্যায়ে এ এস আই এরশাদ স্থানীয় সেকেন্দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন, পরবর্তীতে সেকেন্দারের মাধ্যমে দুই দফায় ১৫ হাজার টাকা নেই এএসআই এরশাদ আলী। টাকা দেওয়ার পর দায়সারা মামলা নিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পুলিশকে টাকা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার ঝন্জু নামে এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন প্রথমে বড়তলা বাজারে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয় এসআই এরশাদকে পরবর্তীতে আমি এবং সেকেন্দার সহ ফেরিঘাটে গিয়ে একটি রুটির দোকানে এ এস আই এরশাদ আলীর হাতে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন মাটির পয়েন্ট থেকে এরশাদ আলী আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে সেকেন্দার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ঝঞ্জু যেটা বলেছে ওটাই ঠিক।

এ ব্যাপারে এ এস আই এরশাদ আলীর কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছি পরে ফোন দিবো বলে ফোন কেটে দেন। এরপরে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, টাকা পয়সা নেওয়ার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে মারামারির বিষয়টি মামলা নেওয়ার মতো ছিলনা, এরপরও মামলা নিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(আর এ)

আরও পড়ুন

Scroll to Top