বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, “দেশের অবস্থা হাসিনা ১২টা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে।”
আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ আয়োজনটি ছিল গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে।
মির্জা আব্বাস বলেন, তাঁর হাতে প্রমাণসহ দেশের নানা দুর্নীতি, আত্মসাৎ ও লুটপাটের তথ্য রয়েছে, তবে বর্তমান অবস্থান থেকে তিনি তা প্রকাশ করছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপিকে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) উদ্দেশ করে তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে, না দিলে মেনে নেবে। “এই ভোট ও গণতন্ত্রের জন্যই গত ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন করেছে,” যোগ করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, কিছু রাজনৈতিক দল মুখে নির্বাচন চাইলেও বাস্তবে তা চান না, কারণ তারা মনে করে নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হবে। এ ধরনের দলগুলো নানা ছুতা তৈরি করে নির্বাচন ঠেকাতে চায়।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করার আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে, তবে বিচারের আগে নির্বাচন না করার মতবাদ গ্রহণযোগ্য নয়।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের মদদে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে যাতে নির্বাচন ব্যাহত হয়।
সভায় জাসাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শওকত আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হেলাল উদ্দীন, শহীদ মিরাজের বাবা আব্দুর রব মিয়াসহ অনেকে। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জাসাসের শিল্পীরা পরিবেশনা করেন।