মঙ্গলবার

১৯:৩৩:০১

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮ পৌষ, ১৪৩২

১ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

ইসলামের দৃষ্টিতে অপ-প্রচার ও গুজব এর বিধান

অনলাইন ডেস্ক

ইসলামের দৃষ্টিতে অপপ্রচার, গুজব সম্পূর্ণরূপে হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপপ্রচারকে কোরআনের ভাষায় ইফক বলে।

ইফক” একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ “ভয়ঙ্কর মিথ্যা অপবাদ”। ইফক শব্দের অর্থ কোনো জিনিসকে উল্টে দেওয়া, অর্থাৎ কোন বিষয়ে মিথ্যা রটানো বা প্রকৃত সত্যকে গোপন করা।

কুরআনে “ইফকের ঘটনা” বা হযরত আয়েশা (রা.)-এর উপর আরোপিত অপবাদের ঘটনা সম্পর্কিত আয়াতগুলো সূরা আন-নূরের (২৪ তম সূরা) ১১ থেকে ২৬ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। এই আয়াতগুলোতে আয়েশা (রা.)-এর সতীত্ব ও পবিত্রতা ঘোষণা করা হয়েছে এবং যারা এই অপবাদ রটনায় জড়িত ছিল তাদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে “ইফকের ঘটনা” নামেই পরিচিত, যেখানে মুনাফিকরা হযরত আয়েশা (রা.)-এর চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করেছিল।
সূরা নূরের (২১-২৬ নং আয়াতে) মুমিনদেরকে এ ধরনের মিথ্যা অপবাদ থেকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ঘটনাটির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।

এই আয়াতগুলো মুসলিম সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয় যে, কাউকে দোষারোপ করার আগে যাচাই করা উচিত এবং ভিত্তিহীন অপবাদ ছড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত।

বর্তমান সময়ে গুজব, অপপ্রচার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও নানাভাবে অপ-প্রচারের প্রচলন রয়েছে।

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যা আরো ভয়াবহ আঁকার ধারণ করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রকার সংবাদ দেখি এবং অন্যের সাথে শেয়ার করি। যা সত্য এবং মিথ্যার ব্যাপারে আমরা সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

এ ব্যাপারে সূরা হুজরাতের ৬ নং আয়াতে মুমিনদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنۡ جَآءَكُمۡ فَاسِقٌۢ بِنَبَاٍ فَتَبَیَّنُوۡۤا اَنۡ تُصِیۡبُوۡا قَوۡمًۢا بِجَهَالَۃٍ فَتُصۡبِحُوۡا عَلٰی مَا فَعَلۡتُمۡ نٰدِمِیۡنَ ﴿۶﴾یایها الذین امنوا ان جآءكم فاسق بنبا فتبینوا ان تصیبوا قوما بجهالۃ فتصبحوا علی ما فعلتم ندمین ﴿۶

হে ঈমানদারগণ, যদি কোন ফাসিক তোমাদের কাছে কোন সংবাদ নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা যাচাই করে নাও। এ আশঙ্কায় যে, তোমরা অজ্ঞতাবশত কোন কওমকে আক্রমণ করে বসবে, ফলে তোমরা তোমাদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হবে।

মুমিন যদি কোনো ঘটনার অসারতা বুঝতে পারে, তবে তা পরিহার করবে। এমনকি এ বিষয়ে কৌতূহলও দেখাবে না। ইমাম মালিক (রহ.) বললেন, যা ঘটে তা জিজ্ঞাসা কোরো, যা ঘটেনি তা নিয়ে জিজ্ঞাসা বর্জন কোরো। আল্লাহ তাআলা আমাদের ক্ষমা করুন এবং সঠিক পথে পরিচালিত করুন। মিথ্যা বলা, মিথ্যার প্রচার করা, অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে দূরে রাখুন। আমিন।

মাওলানা মোঃ রবিউল আলম

(ফাজিল, কামিল, ঢাকা আলিয়া)

ম্যানেজিং ডিরেক্টর, হেভেন টাচ টুরস এন্ড ট্রাভেলস।

আরও পড়ুন

Scroll to Top