উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বা মানুষের তৈরি বিপর্যয় বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সোমবার (৬ অক্টোবর) বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি।
মমতা অভিযোগ করেন, সিকিম ও ভুটান থেকে আসা পানিতেই উত্তরবঙ্গে এই বিপর্যয় নেমে এসেছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নয়, অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছেড়ে রাজ্যকে বিপদে ফেলার জন্য ফের ডিভিসিকে দায়ী করেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- বন্যায় উত্তরবঙ্গে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন দার্জিলিংয়ের ও পাঁচজন নাগরাকাটার। মৃতদের পরিবারকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও স্পেশাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।
মমতা ব্যানার্জী আরও বলেন, যদি ফারাক্কা খনন করতো, কলকাতা পোর্ট ও হলদিয়া খনন করতো; যদি ডিভিসি পাঞ্চেত, মাইথন, ভালো করে পলি সরিয়ে দিত, তাহলে কিন্তু এই অবস্থা হতো না। আরও বেশি পানি ধরে রাখার ক্ষমতা থাকতো তাদের।
তার ভাষ্য, সিকিমে তিস্তা ব্রিজের উপর ১৪টা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। পানি ধরে রাখবে কোথায়? সবটাই শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া, কালিম্পংয়েতে এসে পড়ছে। অসুবিধার সম্মুখীন আমাদের হতে হচ্ছে। আর নিজেরা শুধু টাকা ইনকাম করে যাচ্ছে।
তৃণমূল প্রধান আরও বলেন, মাইথন,পাঞ্চেতে ঠিকমতো পানি রাখার জায়গা নেই, তাহলে বাঁধ রাখার মানে কী? পানি স্বাভাবিক নিয়মে আসতো, স্বাভাবিক নিয়মেই বেরিয়ে যেতো।
ভুটান সরকারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে মমতা বলেন, আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম, ধীরে ধীরে জল ছাড়তে। এমনিতেই যা ছেড়েছিল, তাতে নাগরাকাটা পুরো ডুবে গেছে। জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মিরিক, ধুপগুড়ি সব ভেসে গেছে।