বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পুরান ঢাকার কোতোয়ালি, মিটফোর্ড, ইসলামপুর ও কোর্ট চত্বর এলাকায় জনপথ সভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভিপি ঢাকা কলেজ মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কোতোয়ালি থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ জজ। এছাড়াও বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পথসভায় মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি গোষ্ঠী ধর্মের নাম ব্যবহার করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যারা একসময় পালিয়ে গিয়েছিল, এখন তাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে—যা দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি।”
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ সতের বছর আমরা উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রের দমন দেখেছি। এখন আবার নতুন করে ‘পিআর তন্ত্র’ ও ‘সংস্কার তন্ত্র’ নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—এই বাংলাদেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।”
নেওয়াজ বলেন, “এই দেশের মালিক আঠারো কোটি মানুষ, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পাহারাদার হতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “দীর্ঘ সতের বছর ধরে আইনজীবী, সরকারি চাকরিজীবী, রাজনৈতিক কর্মী ও আলেম-ওলামারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কেউ গুম হয়েছেন, কেউ প্রাণ দিয়েছেন। শহিদ ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা নতুন পরিবর্তনের পথে।”
বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মীর নেওয়াজ বলেন, “দেশে এখনো শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসেনি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চুরি, ডাকাতি ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে। তাই আমরা আবারও দাবি জানাই—দ্রুত নির্বাচন দিন। যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত দেশের সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পাবে।”
উক্ত পথসভা ও লিফলেট বিতরণে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। কর্মসূচির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় তরুণ রাজনীতিবিদ ও কোতোয়ালি থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ জজ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।