মঙ্গলবার

১৯:২৪:২৬

২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

৮ পৌষ, ১৪৩২

১ রজব, ১৪৪৭

Edit Content

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ
  1. Home
  2. ধর্ম
  3. নামাজে সাহু সিজদার নিয়ম

অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তাই পেল না ভারত

ওয়ানডেতে শুবমান গিলের অধিনায়কত্বের অভিষেকটা ভালো হলো না। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ম্যাচেই ভেঙে পড়ল ভারতের ব্যাটিং অর্ডার। ২২৪ দিন পর দেশের জার্সিতে ফিরে রান পেলেন না বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। রান পাননি অধিনায়ক নিজেও। অল্প পুঁজিতে লড়াই করতে পারেনি বোলাররাও।

চারবার বৃষ্টিতে থেমেছে খেলা। ফলে ৫০ ওভারের খেলা কমে দাঁড়ায় ২৬ ওভারে। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে ভারত। কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য কমে দাঁড়ায় ১৩১। ভারতীয় বোলাররাও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ফলে ২১.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে তারা।

রোববার সকাল থেকেই পার্থের আবহাওয়া ছিল মেঘলা। ফলে টস ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই টস হারেন গিল। ফলে কঠিন পরিস্থিতিতে শুরুতে ব্যাট করতে হয় ভারতকে। রোহিত শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিলেন। ৮ রানের মাথায় জশ হেজলউডের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

কোহলি রানের খাতাই খুলতে পারেননি। বার বার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে যাচ্ছিলেন। সেই পুরোনো রোগ। তারই খেসারত দিতে হয়। মিচেল স্টার্কের বলে পয়েন্টে কুপার কোনোলির হাতে ধরা পড়েন তিনি।

দুই উইকেট পড়ার পর এক বার খেলা বন্ধ হয়। খেলা শুরু হওয়ার পর আউট হন গিল। লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন তিনি। একই অবস্থা শ্রেয়াস আইয়ারের। তিনিও লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ফেরেন। চার উইকেট পড়ার পর আবার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। তখন অনেকটা সময় নষ্ট হয়। ফলে খেলা কমে দাঁড়ায় ৩২ ওভারে। শেষ পর্যন্ত তা আরও কমে হয় ২৬ ওভার।

হঠাৎ করে ওভার কমে যাওয়ায় চাপে পড়েন ভারতীয় ব্যাটাররা। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন অক্ষর প্যাটেল ও লোকেশ রাহুল। তাদের ব্যাটে ১০০ পার হয় ভারতের। অক্ষর ৩১ ও রাহুল ৩৮ রান করেন। শেষ দিকে নীতীশ রেড্ডি ১৯ রান করে ভারতকে ১৩৬ রানে নিয়ে যান। কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ভারতের রান হয় ১৩০।

১৩১ রানের লক্ষ্য খুব একটা বেশি ছিল না। অস্ট্রেলিয়া জানত, বেশি ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই। দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অধিনায়ক মার্শের ওপর দায়িত্ব ছিল। হেড শুরুটা ভালো করেন। প্রথম ওভারেই দু’টি চার মারেন। কিন্তু পরের ওভারের অর্শদীপ সিংয়ের বলে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে নেমে ম্যাথু শর্টও বেশি রান পাননি। তাকে আউট করেন অক্ষর।

হেড আউট হওয়ায় মার্শের দায়িত্ব বেড়ে যায়। দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস খেললেন তিনি। জশ ফিলিপ তাকে সঙ্গ দেন। ৩৭ রান করে আউট হন ফিলিপ। মার্শ ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

আরও পড়ুন

Scroll to Top