আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সব রাজনৈতিক দলের জন্য একটি সমন্বিত নিরাপত্তা প্রটোকল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
রাজনৈতিক নেতা, আসন্ন নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সমাবেশ, এমনকি সাইবার স্পেসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, নির্বাচনকালীন যেকোনো ধরনের সহিংসতা, নাশকতা বা নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই প্রটোকল সরবরাহ করা হবে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতৃত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
প্রেস উইং জানায়, হাদির ওপর হামলাকারী ও তার সহযোগীদের ইতোমধ্যে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান চলছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষার কাজ চলছে।
প্রধান সন্দেহভাজন যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে, সে জন্য সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার ছবি ও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। যদিও দেশের ভেতরে একাধিকবার সন্দেহভাজনের অবস্থান শনাক্ত হয়েছে, বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, পুলিশ সন্দেহভাজনের ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা গেছে, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সর্বশেষ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতরা ভারতে পালাতে চাইলে তা রোধে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
এমএফ/বিকল্পকন্ঠ
#জাতীয়নির্বাচন #নিরাপত্তাপ্রটোকল #আইনশৃঙ্খলা #শরিফওসমানহাদি #গণভোট