জলবায়ু তহবিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থে কার্যকরভাবে ব্যবহারের তাগিদ:
রাজধানীতে ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেইঞ্জ এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (আইসিসিইএস) এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু বিষয়ক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।
‘শেয়ার ম্যান্ডেট, শেয়ার ফিচার’ শীর্ষক এই আলোচনায় তরুণরা তাদের মতামত ও ভাবনা ব্যক্ত করেন।
প্রধান বক্তা পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ বলেন, “উন্নত বা উন্নয়নশীল কোনো দেশই যথাযথভাবে জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সমর্থন দিচ্ছে না। ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিলের ভেতরে পুঁজিবাদের বীজ রয়ে গেছে। আলোচনায় সক্রিয় না হলে এটি নতুন ধরনের উপনিবেশবাদের রূপ নিতে পারে।” তিনি আরও যোগ করেন, জলবায়ু তহবিল যেন মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থে কার্যকরভাবে কাজ করে, তার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আইইউবি-এর অধ্যাপক ড. মো. হাফিজুর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি-এর ইউএন উইং চিফ একেএম সোহেল, ন্যাকম-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মনজুরুল হান্নান খান, আইসিসিইএস চেয়ারম্যান শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, আইসিসিসিএডি-এর জেন্ডার অ্যান্ড ইয়ুথ প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর সুমাইয়া বিনতে সেলিমসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ। তারা ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত কপ-৩০ সম্মেলনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব ও জাতীয় নীতি নির্ধারণের প্রাসঙ্গিক দিক তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বজুড়ে রেকর্ড-ভাঙা তাপমাত্রা এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমা অতিক্রমের আশঙ্কা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও COP30-কে বাস্তবায়নের কপ হিসেবে আশা করা হয়েছিল, তবুও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আশানুরূপ হয়নি। এর ফলে জলবায়ু নীতি ও কৌশল নির্ধারণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেখা দিয়েছে।
আইসিসিইএসের প্রতিনিধি জানান, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সহনশীলতা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য গবেষণা, নীতি নির্ধারণ ও বাস্তব সমাধান তৈরি করে থাকে। এই সংলাপের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে জলবায়ু চেতনা বৃদ্ধি এবং জাতীয় নীতিতে কার্যকর প্রভাব তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এমএফ/বিকল্পকন্ঠ
#জলবায়ু #COP30 #ICCES #আইইউবি #পরিবেশসচেতনতা