সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের প্রতীক শহীদ শরীফ ওসমান হাদী, দেশপ্রেম ও সাহসের উত্তরাধিকার রেখে গেলেন তরুণ নেতা:
ঢাকা: তরুণ রাজনীতিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদী ছিলেন এক অনমনীয় সাহসের প্রতীক। দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার প্রশ্নে যিনি কোনোদিন আপস করেননি। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই কেবল রাজপথে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চেতনার মাধ্যমে তিনি স্বৈরশাসনের ভিত্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক সহকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মতে, শরীফ ওসমান হাদী বিশ্বাস করতেন—স্বাধীনতা শুধু রাজনৈতিক দাবি নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক সংগ্রামও। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি তরুণদের যুক্ত করেছিলেন সংস্কৃতিভিত্তিক প্রতিরোধে। কবিতা, গান, আলোচনা ও প্রতিবাদী আয়োজনের মাধ্যমে তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখেন।
সম্প্রতি তাঁর ওপর সংঘটিত নির্মম হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক জোট এই হত্যাকাণ্ডকে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সহকর্মীরা বলছেন, শরীফ ওসমান হাদী কোনো একক ব্যক্তি ছিলেন না—তিনি ছিলেন একটি আদর্শের নাম। তাঁর জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু প্রভাব ছিল গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী। তরুণ সমাজের কাছে তিনি রেখে গেছেন সাহস, নৈতিকতা ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতার উত্তরাধিকার।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হত্যাকাণ্ড আবারও প্রমাণ করেছে যে মত ও আদর্শ দমনে সহিংসতার পথ নেওয়া হচ্ছে। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, কিন্তু আদর্শকে নয়। শরীফ ওসমান হাদীর চিন্তা ও দর্শন আগামী দিনের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে প্রেরণা হয়ে থাকবে।
শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর স্মরণে বিভিন্ন স্থানে শোকসভা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন—তাঁর দেখানো পথে থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
এমএফ/বিকল্পকন্ঠ
#শহীদ_শরীফ_ওসমান_হাদী #সাংস্কৃতিক_প্রতিরোধ #গণতন্ত্র #তারুণ্যের_প্রেরণা #আদর্শ_অমর